অবহেলিত ছেলেটি যখন পুলিশ
সমাপ্তি
লেখকঃ সাদমান আদ্-দ্বীন প্রতীক
আরও অবাক হলাম এটা জেনে যে বায়েজিদ ওদের বস, আর ও নিজেও।
যাইহোক আমি সেদিন রাতেই প্লান করে ফেলি।
তোদেরই টাকা দিয়ে একটা বেওয়ারিশ লাশ কিনে তোদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করি।
তোদের ডি এন এ রিপোর্ট ও চেঞ্জ করে ফেলি। আর কোর্টে তোরা নিজেদের নির্দোষ প্রমান ও করতে পারলি না।
এত টাকা থেকে কি লাভ?
এরপরের কাহিনি আরো ইন্টারেস্টিং, কিছুদিন
আগে আমার বন্ধু মাফিন কিছু নতুন ড্রাগস এনেছিলো,
কিন্তু সেগুলো ওর বেস থেকে বের করার ও সুযোগ পায়নি, পেলে হয়তো এইখান থেকে বের হওয়ার টাকা হয়ে যেতো।
কারণ আগের টাকা তো উকিলকে দিয়েছিলি।
আসলে তোর উকিলও আমার লোক, আমার বন্ধুরা ধোকা খেলো। অনেক খারাপ লাগছে রে।
বাই দা রাস্তা আমি আবার বন্ধুদের জন্য কবে থেকে সন্টি হচ্ছি।
এরপর তোদরে সবগুলোকে একসাথে ফাসিয়ে ফাসির আসামি বানালাম।
মাফিনঃ এবার আমাদের ফাসি হবে এইতো?
আমিঃ না নানা না না না বন্ধু, ফাসি হলে তো একবারে সব শেষ। আমি তোমাদের এত আরামের মৃত্যু দিবো যে তুমি কেনো, তোমাদের লাশ দেখলেও সবাই ভয়ে শেষ হয়ে যাবে।
বায়েজিদঃ এত সহজে?
আমিঃ হ্যা? তোদের ফাসি তো হয়েই গেছে, ওন পেপার তোরা মৃত।
এইবার তোদের মারার দায়িত্ব আমার।
হ্যা, সেইদিনই ওদের সব গুলোকে মেরে ফেলেছিলাম।
কতটা নৃশংস ভাবে তা আর বলছি না।
এরপর, সেদিন থেকে সবার সাহায্য করা, আর দুর্নীতিবাজদের শেষ করে আলাদা প্রশান্তি পাই।
আজ আমার রিটায়ারমেন্টের দিন। এরপর আর হয়তো এসব কাজ করতে পারবো না। তবে আর আফসোস নেই খারাপ হিসেবে।
আফসোস সেদিন আনিকা কে বাচাতে পারিনি।
হয়তো একা একাই কাটিয়ে দিতে হবে বাকি জীবন টা।
আমি আমার গল্পের সেই নোবিতা, যার না আছে ডোরেমন। আমি একা ছিলাম, আছি আর থাকবো।
****************সমাপ্ত******************