অবহেলিত ছেলেটি যখন পুলিশ
পর্ব ৪
লেখকঃ সাদমান আদ্-দ্বীন প্রতীক
 |
| অবহেলিত ছেলেটি যখন পুলিশ পর্ব ৪ | obohelito cheleti jokhon pulice part 4 |
আমি ডিআইজি অফিস থেকে বের হচ্ছি এমন সময় খবরে দেখি আনিকা মারা গেছে।
খবরে,
আজ সকালে গাড়ির সাথে স্কুটির এক্সিডেন্টএ মারা গেছে আনিকা নামের এক তরুণী। তার বয়স..........
নাহ্, আমার মাথায় কাজ করছে না। আনিকা কেনই বা আমার নামে কমপ্লেইন্ট করলো। আর হঠাৎ করে তার এক্সিডেন্ট।
কিছু একটা মিস হয়ে যাচ্ছে। কি সেইটা?
ভাবতে ভাবতে এক কাপ কফি নিয়ে বসলাম।
এমন সময় কল এলো,
বায়েজিদঃ স্যার আপনি এখনই বাসায় আসুন। ডিআইজি অফিসের সামনে গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি।
আমিঃ কি হয়েছে
বায়েজিদঃ অনেক সমস্যা স্যার।
আমি তারাতারি গাড়িতে উঠে চলে এলাম।
বাসায় এসে দেখি আমার বাসা পুরোটা ব্লাস্ট হয়েছে।
আমার সামনে দুটো লাশ। মা বাবার।
একসাথে সব প্রিয় মানুষদের হারালাম।
ভিতর টা ফেটে যাচ্ছে। এমনিও এত বছর পর মা বাবাকে পেয়েছি। আর আজ আমার জন্যই।
নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে। সারাজীবন খারাপ করলাম কষ্ট পেতে হয়নি আর আজ ভালো কাজ করাতে সবাইকে হারালাম।
আমি এক জায়গায় বসে পরলাম। আজ নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে।
এমন সময় কল এলো,
আমিঃ হ্যালো কে?
ওপাশেঃ কি এস পি স্যার, কেবল তো খেলা শুরু। এখনও কতকিছু হবে ভাবতেও পারছেন না।
আমিঃ কে তুই?
ওপাশেঃ সেইটা বাদ দে।
আনিকা তোকে অনেক ভালোবাসতো, তোর পরিবারকে বাচাতে মিথ্যা কেস করলো। কিন্তু আমি আবার প্রমান রাখি না।
ও প্রমাণ পেয়ে গেছিলো। তাই ওকে মেরে ফেলি। এদিকে তোর বাপ, আরেক কুত্তার বাচ্চা, পুলিশ গিরি ছারলো না। আমি বলেছিলাম ছেড়ে দিবো। কিন্তু তাও আমার সাথে মারামারি করতে হবে।
তোর মা আমার পা পর্যন্ত ধরতে গেছিলো৷ তোর আর তোর বাপের যেন ক্ষতি না করি। কিন্তু আমি আবার বৃদ্ধাদের পা ধরতে দিতে পারি না।
তাই উপরে পাঠিয়ে দিলাম। হা হা হা হা হা
আমিঃ তোকে কাছে পেলে আমি তোর হাজার টা টুকরা করে রাস্তার কুত্তাদের খাওয়াবো।
ওপাশেঃ তার জন্য আমাকে ধরতে হবে। পারলে ধরে দেখা। আর না পারলে পরশু তোর সাথে দেখা এমনিও হবে।
আমি কিছু বলার আগেই কেটে দিলো। আমি নাম্বার ট্রেস করারও চেষ্টা করলাম কিন্তু লাভ হলো না।
একদিকে সবাইকে হারানোর কষ্ট অন্যদিকে প্রতিশোধের নেশা।
আমি সিগারেট ধরালাম আর ভাবতে লাগলাম কে এমন করতে পারে।
মাফিন আর ওর লোকজন কে কুকুরের মতো মেরেছি, তাও ওরা বলছে কিছুই জানে না।
কিন্তু হঠাৎ একটা ক্লু পেয়ে গেলাম
(চলবে)